কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পশুর হাট বসেছে। এসব হাটে ভেটেরিনারি পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। তারা উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের মেডিক্যাল টিমের সাথে কাজ করছেন।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ১২ জন ডাক্তার, ৩৫ জন ইন্টার্ন ডাক্তারসহ আরও শতাধিক শিক্ষার্থী কোরবানির হাটে মেডিক্যাল টিমে কাজ করছেন।
পশুর হাটে দায়িত্বরত ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা জানান, কোরবানির প্রাণির স্বাস্থ্য পরীক্ষা, হাটে অসুস্থ হয়ে পড়া প্রাণির চিকিৎসাসহ সব রকমের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। ২৮ জুন পর্যন্ত তাদের সেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এ প্রসঙ্গে এনিম্যাল প্রোডাকশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা বরাবরের মতো এবারও সারাদেশের বিভিন্ন কোরবানির পশু বিক্রির হাটে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের মেডিক্যাল টিমের সাথে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের এমন কাজ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোরবানির পশু যেহেতু আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য কোরবানি করা হয়, তাই তাদের এমন স্বেচ্ছাশ্রম একদিকে যেমন একজন ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে প্রাণিসেবার দায়িত্ববোধকে সমুন্নত রাখে, সেই সাথে ধর্মীয়ভাবেও কোরবানির পুণ্যের অংশীদার হিসেবে গণ্য হবে বলে মনে করি।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সারাদেশে প্রাণির স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ১,৬৯৭টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এবার দেশে এক কোটি চার লাখ কোরবানি পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু মজুত আছে।