ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে থাকা পাঁচ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৯১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ অভিযান চালায় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইসরায়েলি হামলায় নিহতরা হলেন, আহমেদ সাকার (১৫), খালেদ দারিস (২১), কাশেম সারিয়া (১৯), কাশেম ফয়সাল আবু সিরিয়া (২৯) এবং আহমেদ দারাগমে। ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় আহদের মধ্যে ২২ জনের অবস্থা গুরুতর।
এ ঘটনায় পশ্চিম তীরে আল জাজিরার সাংবাদিক নাদি ইব্রাহিম বলেন, ইসরায়েল বাহিনী জোর করে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায়। ওই ক্যাম্পের মধ্যেই তাদের দাফন করা হবে। সেখানেই তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়। ইসরায়েলের হামলায় তারা নিহত হওয়ার পর তাদের আত্মীয়রা শোক প্রকাশ করেন। অনেক ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পে আসেন।
গত বছর এই শিবিরের কাছাকাছি ইসরায়েলের একজন স্নাইপার আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আখলেকে গুলি করে হত্যা করে।
এদিকে ইসরায়েলের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাতজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটির সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলি হেলিকপ্টারে হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বলা হচ্ছে, দুই দশক আগে ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার ঘটনার পর এই প্রথম ইসরায়েলি হেলিকপ্টারে আক্রমণ চালিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। চলতি বছরে এ পর্যন্ত দেশদুটির মধ্যকার বিবাদমান সংঘাতে ১৬০ ফিলিস্তিনি এবং ২১ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে, ইসরায়েলের এই অভিযানের পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জানান, সেখানকার পরিস্থিতি দিন-দিন খারাপ হচ্ছে। এতে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে।