নির্বাচন নিয়ে আরএমপি’র নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে কার্যকর

আগামীকাল সকাল থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট নিয়ে সিটি করপোরেশন এলাকায় বেশ কিছু নির্দেশনাও জারি করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। এসব নির্দেশনা মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মহানগরী এলাকায় মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, ইজিবাইক, লঞ্চ, ট্রলার, স্পিডবোট, টেম্পো, বেবিট্যাক্সি/অটোরিকশা এবং অন্য সব যন্ত্রচালিত যানবাহন, যেমন নছিমন, করিমন, ভটভটি, টমটম ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এছাড়া সোমবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি এর আওতায় থাকবেনা।

এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে নৌযান ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

এদিকে, রাসিক নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ব্রিফিং করেছেন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। সকালে আরএমপির পুলিশ লাইনস্ মাঠে নিরাপত্তাবিষয়ক ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পুলিশ কমিশনার বলেন, শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে এবারের রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে মডেলস্বরূপ। ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ পুলিশ এখন স্মার্ট পুলিশ। নির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটবে।

তিনি আরও বলেন, ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। এর মধ্যে ১৪৮টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৭টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু তারা সব কেন্দ্রকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্র এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ব্রিফিং প্যারেডে আরও বক্তব্য দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, রাজশাহী রেঞ্জের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপমহাপরিচালক কামরুন নাহার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) বিজয় বসাক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড ডিবি) সামসুন নাহারসহ আরএমপির কর্মকর্তারা।