নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।
এর আগে শনিবার দুপুর দুইটার দিকে রাজশাহীর র্যাব-৫ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শক্তিশালী বোমা থাকার বিষয় নিশ্চিত করে। তবে তাদের কাছে বোমা নিষ্ক্রিয় করার যন্ত্রপাতি না থাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে খবর দেয় তারা। এরপর শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ডিএমপির একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার কার্যক্রম শুরু করে।
থানা পুলিশ, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও র্যাব সদস্যরা জানায়, গুরুদাসপুর পৌর এলাকার সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলামের কার্যালয়ের দরজার পাশে কে বা কারা প্লাস্টিকে মোড়ানো একটি বস্তা রেখে যায়। এতে লেখা ছিল ‘প্রিন্সিপাল, বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর, আম্রপালি ৩০ কেজি’।
শনিবার সকালে নয়টার দিকে অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম কলেজে এসে বস্তাটি দেখতে পান। বস্তা দেখে সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে খবর দেন তিনি। এরপর সকাল নয়টা থেকে কলেজে পুলিশ মোতায়েন করে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে বিষয়টি জানানো হয়। দুপুর দুইটার দিকে রাজশাহী থেকে র্যাব-৫ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে পরীক্ষা করে বস্তায় বোমা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি শক্তিশালী বোমা ছিল। যা বোমা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সাহায্যে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি সুটকেসের ভেতরে বোমাটি রাখা হয়েছিল। এরমধ্যে ছিল ককটেল জাতীয় তিনটি বস্তু, পেট্রোল বোমার তিনটি বোতল এবং প্লাস্টিকের জারের মধ্যে কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ। টানা আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’
সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান ও গুরুদাসপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, রাত সাড়ে দশটায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার কার্যক্রম শুরু করে। রাত সাড়ে বারোটার দিকে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কলেজে পার্সেলের ভেতরে বোমা কে রেখেছে সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি পক্ষের সঙ্গে মামলা মোকদ্দমা চলছে। এই বিরোধের জেরে সম্প্রতি প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ও কলেজটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।’