ইউরোপিয়ান ট্রেবল জয়ে বাঁধভাঙা উদযাপনে মেতেছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলাররা। ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পর থেকে সে উৎসব চলছেই। ইস্তাম্বুল থেকে অবকাশ যাপনের জন্য বিখ্যাত ইবিজা হয়ে ম্যানচেস্টারে ফিরেও উৎসবে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। সিটিজেনদের উন্মাতাল এই উদযাপনের কিছু চমকপ্রদ ঘটনা বেশ হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক এদেরসন জানিয়েছেন, মদ্যপান করে তা সামলাতে না পেরে জ্যাক গ্রিলিশের মায়ের ব্যাগে বমি করেছেন পর্তুগিজ সেন্টারব্যাক রুবেন দিয়াজ।
গিনির সাথে প্রীতি ম্যাচ খেলতে জাতীয় দল ব্রাজিলের সাথে রয়েছেন এদেরসন। সেখানেই সংবাদমাধ্যম টিএনটি স্পোর্টসকে এদেরসন বলেন, সিটির স্কোয়াডের অনেকেই মদ্যপান না করলেও উৎসব চলাকালীন অনেকেই তা ভুলে গিয়েছিলেন। ম্যানচেস্টার সিটি সেন্টারের সামনে মেফিল্ডে ‘ট্রেবল’ জয়ের উদযাপনের সময় সেই দুর্ঘটনা ঘটান দিয়াজ। ‘কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা মদ্যপান করে না কিন্তু সেই দিনটা ব্যতিক্রম ছিল। দিয়াজও তাই করেছিল কিন্তু সহ্য করতে পারেনি। দুই পেয়ালা খেয়েই সে বমি করেছে এবং কাকতালীয়ভাবে সেটাও গ্রিলিশের মায়ের ব্যাগে’- মজা করেই এ তথ্য জানিয়েছেন এদেরসন।
তবে এখানেই শেষ নয়, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনও মজার তথ্য দিয়েছে। জ্যাক গ্রিলিশের বাবা কেভিনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, টানা তৃতীয় লিগ শিরোপা জয়ের পর পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে টানেল ক্লাবে গিয়েছিলেন ফুটবলাররা। সেখানে আকণ্ঠ মদ্যপানের বিল এসেছে ৪৭ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
মেইল অনলাইন তাঁর উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, ‘সত্যি বলতে সিটির উদ্যাপন ও পার্টিও চমৎকার ছিল। প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পর টানেল ক্লাবে যে উৎসবটা হলো সেখানে বিল এসেছিলো ৪৭ হাজার পাউন্ড। আমি রশিদ দেখেছি।’ চলতি মৌসুমে ম্যানসিটির উদযাপনে পান সংক্রান্ত বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন জ্যাক গ্রিলিশ। ছেলেকে নিয়ে যাতে নতুন আলোচনা উসকে না যায় সেজন্য নিজেই আরেকটি তথ্য দিয়েছেন কেভিন- ‘এটি জ্যাকের একার বিল না। সেদিন রাতে সে আগেভাগেই বাড়ি ফিরেছে।’