নাটোরে নলডাঙ্গা উপজেলার চার নম্বর পিপরুল ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
সরজমিন দেখা গেছে, হালতি বিলে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ ও ইউপি সদস্য গোলাম শ্রমিকের বদলে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে রাস্তার কাজ করছেন। গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে এসব প্রকল্পের কাজ করার বাধ্যবাধকতার কথা থাকলেও, মেশিন দিয়ে সস্তায় মাটি কেটে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।
ওই ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো প্রকল্পের কাজ শ্রমিক দিয়ে করার কাগজপত্র অফিসে জমা দিলেও বাস্তবে এসব কাজ করানো হচ্ছে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে। রাস্তার দু’পাশের মানুষের ফসলি জমি কেটে নেয়া হচ্ছে রাস্তার মাটি। এতে দরিদ্র শ্রমিকের পাশাপাশি কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই এসব অনিয়ম হলেও কেউই কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ‘ম্যানেজ’ করেই চলছে এসব অনিয়ম।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কলিম উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নে ৭-৮টি রাস্তার কয়েকটি প্রকল্পে মেশিন দিয়ে কাজ চলছে।
নলডাঙ্গা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওমর খৈয়াম বলেন, শ্রমিকের পরিবর্তে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটার কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। যদি কেউ করে থাকেন, তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা রোজিনা আক্তার বলেন, খোঁজখবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।