দেশে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ, বেশি হচ্ছে গ্রামে

এক বছরের ব্যবধানে দেশে তালাকের হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি এই প্রবণতা দেখা গেছে গ্রামে। এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর  জরিপে।

মঙ্গলবার ঢাকার শেরে বাংলা নগরের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালে দেশে তালাকের স্থুল হার বেড়ে প্রতি হাজারে এক দশমিক চারটি হয়েছে। ২০২১ সালে এই হার ছিল প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক সাত।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, তালাকের এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি গ্রামাঞ্চলে। যেখানে প্রতি হাজারে এক দশমিক পাঁচটি আর শহরে হাজারে একটি বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে গত বছর। 

ব্যুরোর ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেল্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলমগীর হোসেন বলেন, গতবছর সারাদেশে দুই হাজার ১২টি ইউনিট ১৩ লাখ দুই হাজার ৭৮৮ জনের ওপর জরিপ চালিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, গত বছর দেশে গড়ে প্রতি হাজারে বিয়ে করেছেন ১৮ দশমিক এক জন।

দেশে ১০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার ২৮ দশমিক সাত শতাংশ অবিবাহিত, ৬৩ দশমিক নয় শতাংশ বিবাহিত এবং সাত দশমিক চার শতাংশ বিধবা/বিপত্নীক, তালাকপ্রাপ্ত বা দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়েছে।

পুরুষের বিবাহের গড় বয়স এখন ২৫ দশমিক তিন বছর। আর নারীর বেলায় তা ১৮ দশমিক আট বছর।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, গত বছর যাদের বিয়ে হয়েছে, তাদের মধ্যে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশের বয়স ছিল ১৫ বছরের নিচে। আর ১৮ বছরের কম বয়স ছিল ৪০ দশমিক নয় শতাংশের।