সিলেটে ট্রাক-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে ১৪ জনের মৃত্যু

সিলেটে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৪ জন নির্মাণশ্রমিক মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। বুধবার (৭ জুন) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দক্ষিণ সুরমার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কুতুবপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এই দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরা নির্মাণকাজের ঠিকাদার শের আলী জানান, তিনি পিকআপ ভ্যানে করে নির্মাণশ্রমিকদের নিয়ে ওসমানীনগরে যাচ্ছিলেন। সেখানে একটি সাইটে আজ সকালে ঢালাইয়ের কাজ ছিল। ভোরে সবাইকে একসাথে জড়ো করে রওনা দেন তারা। পিকআপে নারী-পুরুষসহ প্রায় ৩০ জন শ্রমিক ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে এসে আমাদের পিকআপে ধাক্কা দিয়েছিল। ধাক্কা দেওয়ার পরপরই সবাই সড়কে ছিটকে পড়ে যায়। এরপর শুরু হয় লাশের মিছিল। দুর্ঘটনার পর প্রথমে স্থানীয়রা ছুটে এসে আসেন। নিহতদের মধ্যে আমার ভাই সাহেদ আহমদও আছে।’

সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহম‌ুদ জানান, স্বজনদের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। মরদেহগুলো সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি শামসুদ্দোহা জানান, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে করে প্রায় ৩০ জন নির্মাণশ্রমিক ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাদেরকে বহনকারী পিকআপটি দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুরে পৌঁছালে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। আহতদের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

ওসমানী হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ জুয়েল আহমদ জানান, হাসপাতালে মারা গেছেন তিন জন।

এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।