বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিবন্ধনের নির্দেশিকা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নতুন কিংবা ভাড়ায় চালিত হালকা যানবাহন আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে এবং ২০৪৫ সাল নাগাদ মাঝারি ও ভারী যানবাহনগুলো বাধ্যতামূলকভাবে বৈদ্যুতিক হতে হবে। এছাড়াও মহাসড়কে চলাচল করেনা এমন নতুন প্রচলিত ধরনের যানবাহন বিক্রি এবং এগুলোর যন্ত্রাংশ উৎপাদনও ২০৩৫ সালের মধ্যে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

মার্কিন মুল্লুকে যখন এমন সিদ্ধান্ত তখন বাংলাদেশে কী হবে বৈদ্যুতিক যানবাহন নিয়ে? আজকে আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।

গেল ১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহন নিবন্ধনের জন্য সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য বিশদ নিয়ম ও প্রবিধানগুলো সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে সারাদেশে বৈদ্যুতিক বাহনের এই প্রচার করবে।

নির্দেশিকাটিতে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র, নম্বর প্লেট পাওয়ার প্রক্রিয়া এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকার নিরাপত্তা প্রবিধান এবং প্রযুক্তিগত মানগুলোর একটি সেটও অন্তর্ভুক্ত করেছে যা বৈদ্যুতিক যানবাহন নির্মাতা এবং আমদানিকারকদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এই নির্দেশিকাগুলো এমন এক সময়ে প্রকাশ করা হয় যখন দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৈদ্যুতিক বাহন নিরাপদ ও দক্ষভাবে ব্যবহারের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করতে এবং বাংলাদেশে এর বাজারের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নির্দেশিকাগুলো একটি স্বচ্ছ এবং সুবিন্যস্ত নিবন্ধন প্রক্রিয়া তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যাতে মানুষের জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনা এবং ব্যবহার করা সহজ হয়৷

সরকারের এই পদক্ষেপকে শিল্প বিশেষজ্ঞরা স্বাগত জানিয়েছেন, যারা বিশ্বাস করেন যে নির্দেশিকাগুলো দেশের ইভি বাজারে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেবে। নির্দেশিকা প্রবর্তনের সাথে সাথে, বাংলাদেশের রাস্তায় বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৈদ্যুতিক গাড়ির নিবন্ধন সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ বাংলাদেশে টেকসই পরিবহনের প্রচারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে যা এই খাতে কাজ করা প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের জীবিকার মানোন্নয় উন্নয়ন করবে। বৈদ্যুতিক যানবাহন গ্রহণের প্রচারের জন্য সরকারের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র দেশের কার্বন নিঃসরণ কমাতেই সাহায্য করবে না বরং একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ অর্থনীতির বৃদ্ধিতেও অবদান রাখবে।

সরকারি গেজেটটি দেখতে এই লিংকে যান। http://www.dpp.gov.bd/upload_file/gazettes/48498_21564.pdf

সজীব সেন, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কারিগরি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত।