বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সম্পত্তির বিরোধের জেরে আলমগীর হোসেন (৩৫) ও জহুরুল ইসলাম বিটুল (৩২) নামে দুই পল্লী চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার হাসখালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আলমগীর হোসেন ঈশ্বরঘাট গ্রামের চান মিয়ার ছেলে এবং জহুরুল ইসলাম বিটুল একই গ্রামের ওসমান গণির ছেলে।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষ বেলাল হোসেনের পরিবারের সাথে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করা হলেও মীমাংসা করা হয়নি।
শুক্রবার রাত আটটার দিকে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর হোসেন তার চাচাতো ভাই হোমিও চিকিৎসক জহুরুল ইসলাম বিটুলকে সাথে নিয়ে কান্তনগর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা হাঁসখালী বাজার এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষ বেলাল হোসেন ও তার লোকজন পথরোধ করে।
এসময় উভয় পক্ষের মাঝে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বেলাল হোসেনের লোকজন জহুরুল ইসলাম বিটুলকে ছুরিকাঘাত করে। আলমগীর হোসেন তার ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত ও মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহতদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় আলমগীর ও বিটুলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে আলমগীরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় আহত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ববি খাতুন বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে পাঁচ জনকে আসামী করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর ঈশ্বরঘাট গ্রামের দুদু আকন্দের ছেলে বেলাল হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ধুনট থানা থেকে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।