জাবিতে প্রথম ঘুড়ি উৎসবে শৈশবের আনন্দ উপভোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ঘুড়ি উৎসব। গ্রাম বাংলার আবহমান কালের ঐতিহ্য ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ বর্তমান প্রজন্মের সাথে ভাগাভাগি করতে এই আয়োজন করে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার।

বুধবার বিকেল চারটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বান্নাহ ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। উৎসবে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ উপভোগ করতে উপস্থিত হন দর্শনার্থীরাও।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওমর ফারুক বান্নাহ বলেন, ‘শৈশবে খোলা আকাশের নিচে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ ছিল অফুরন্ত। স্কুল কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নানা ব্যস্ততায় ঘুড়ি নিয়ে দৌড়ানোর সময় হয়ে ওঠে না কারো। গ্রাম বাংলার এই আবহমান ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা মানুষের সাড়া পেয়েছি। আশা করছি প্রতিবছর এই আয়োজনের ধারা অব্যাহত রাখতে পারব।’

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রণকারী সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শাওদা বলেন, ‘সর্বশেষ ঘুড়ি উড়িয়ে ছিলাম যখন কলেজে পড়তাম। এতদিন পরে ঘুড়ি উৎসবে ঘুড়ি উড়াতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’

ঘুড়ি উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থী কনৌজ কান্তি রায় বলেন, ‘বসন্তকালে ছোটবেলায় অনেক ঘুড়ি উড়িয়েছি কিন্তু ঘুড়ি উৎসব কখনো দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বসন্তের বাতাসে খোলা আকাশে ঘুড়ি উড়তে খুবই ভালো লাগছে।’

উৎসবে ছিল ঘুড়ি উড়ানো ও শৈল্পিক ঘুড়ি বানানো প্রতিযোগিতা। ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দলে তিনজন করে প্রতিযোগী ছিল। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী সজিব আহমেদ। উৎসব শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে এবং ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ উপভোগ করতে প্রতিবছরই এই আয়োজন অব্যাহত রাখার কথা জানান আয়োজকরা।