বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ব্যাচের ১৭ শিক্ষার্থী

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ১৭ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথমবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেই অ্যাডভোকেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা। সুপারিশপ্রাপ্ত সকলেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. জায়েদ বিন খলিল, মো. আরিফুল হক মিঠু, মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, মো. মাসুদ রানা (সজল), মো. আসাদুল্লাহ (তারিফ), মো. মোজাম্মেল হক, মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী, মো. আল মামুন, মোছা. রুনা আক্তার, মোছা. মাহমুদা জান্নাত, মোছা. সুমাইয়া জান্নাত পলি, মোছা. তানিয়া আক্তার, হোসাইন আহমদ, মো.আল মামুন, মোছা. তানিয়া আক্তার, মোছা. তমা আক্তার ও মোছা. পানশি ইসলাম।

সুপারিসপ্রাপ্ত জায়েদ বিন খলিল জানান, ‘সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। অ্যাডভোকেট হওয়া নিশ্চয় আনন্দের বিষয়। এটি এমন একটি পেশা যেখানে নিপীড়িত ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করা যায়। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের প্রতি যারা এ পর্যন্ত আসার জন্য সাহায্য করেছেন। দোয়া চাই যেন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারি।’

আইন ও বিচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো: আহসান কবীর শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘তারা আমাদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী। প্রথমদিকে আমাদের বিভাগের বিভিন্ন সংকট ছিল। এতো সংকট থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের এই অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের এই সফলতা সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। তাদের এই অর্জন পরবর্তীদের অনুপ্রাণিত করবে। আইন ও বিচার বিভাগ আরও সামনে এগিয়ে যাবে এবং সফলতার এই ধারা অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশা করছি।’

এর আগে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষাতেও সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছা. সুমাইয়া জান্নাত পলি ও মোছা. তানিয়া আক্তার।