জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ফেরদৌস হাওলাদার সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (৪৯তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শেখ শাহরিয়ার পারভেজ শাওন। তিনি দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (৪৮ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। অভিযোগপত্রে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন মাঠ থেকে ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেলে আসা তিনজন শিক্ষার্থী ফেরদৌস হাওলাদারের গতিরোধ করে। এরমধ্যে শেখ শাহরিয়ার পারভেজ শাওন তাকে এলোপাথারি চর-থাপ্পড় মারতে থাকে। এরপর নিজেকে জাবি’র শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে তড়িঘড়ি করে সরে যায়।
ভুক্তভোগী ফেরদৌস হাওলাদার বলেন, অভিযুক্ত কারো সাথেই পূর্ব পরিচয় কিংবা কোনও ধরনের শত্রুতা নেই। স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন মাঠ থেকে ফেরার পথে তারা আমার গতিরোধ করে মারধর করে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযুক্ত শেখ শাহরিয়ার পারভেজ শাওনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন,
ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা এরকম কোন কিছু ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে তদন্ত এবং প্রমাণসাপেক্ষে কেউ অপরাধে যুক্ত হলে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। কারও অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, অভিযোগপত্র তারা পেয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।