রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নবাগত শিক্ষার্থীদের গোলাপফুল ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক। সেখানে অন্যদের মধ্যে প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, সহকারী প্রক্টরগণ, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে রাবি উপাচার্য বলেন, তোমরা তোমাদের মেধার পরিচয় দিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছো। বাংলাদেশে যত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে রাবি অনন্য। পূর্ববঙ্গে যখন শিক্ষা শুরু হয়নি তখন এ ক্যাম্পাসে শিক্ষা শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। আমাদের থেকে তোমরা ৪০ বছর এগিয়ে আছো, আমরা যেখানে স্বপ্ন দেখতে পারি না সেখানে তোমাদের স্বপ্ন দেখার অনেক সুযোগ রয়েছে।

শিক্ষার্থীদেরকে উপদেশ দিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, জ্ঞানের যতগুলো শাখা রয়েছে সব শাখাতেই তোমাদের বিচরণ থাকতে হবে। শিক্ষার কোনও মুহূর্তই যেন তোমাদের জীবন থেকে হারিয়ে না যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা পথ ও মত রয়েছে। সেগুলো থেকে তোমাদের ভালো পথ বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষকের পাঠদান থেকে তোমাদের জ্ঞানের দরজা উন্মুক্ত হবে। তোমরা এমন শিক্ষা গ্রহণ করবে যাতে নিজেকে শানিত করে জাতির কাজে লাগে। তোমরা সাহস করে সত্যের পথে পা বাড়াবে। সত্যের পথে অনেক বাধা আসবে। সব বাধা মোকাবিলা করে নিজের পথ নিজেই খুঁজে নিতে হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, তোমরা অধ্যাবসায়ের ফলে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে এখানে এসেছো। তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত ও দেশ পরিচালনা করবে। তোমাদের হয়ে উঠতে হবে মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ। তোমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে দেশের উন্নয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূখ উজ্জ্বল করতে ভুমিকা রাখবে বলে তোমাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।

সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, তোমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। নবীন শিক্ষার্থীদের পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। নবীন শিক্ষার্থীদের কাজ হচ্ছে শুধু পড়াশোনা, পড়াশোনা ও পড়াশোনা করা। পড়াশোনাই তোমাদের মূল কাজ তারপর অন্যসব কার্যক্রম।

নবীনবরণের শেষ পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপস্থিত নবীন শিক্ষার্থীসহ অতিথিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।