বেরোবি শিক্ষার্থী মাসুদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে হাইকোর্টের রুল

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানার ছাত্রত্ব নিয়মিতকরণ করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মাসুদকে চলতি শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়রে উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং রেজিস্ট্রারকে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের আদেশ দেয়া হয়েছে।

গত রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমরান হোসাইন রুমেল।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা (রেজিস্ট্রেশন নং-০০০০০৬৪৯, আইডি নং-১৪৬০১২) ব্যক্তিগত কারণে উক্ত সেশনে ক্লাসে অংশগ্রহণ না করে পরবর্তী সেশনে (২০১৫-১৬) পুনঃভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষ প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টার সম্পন্ন করেন। পরে সে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে ২০১৫-১৬ সেশনের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি। পরে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম একাডেমিক কাউন্সিলে মাসুদকে (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষে পুনঃভর্তির জন্য সুপারিশ করা হয়। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরও তাকে কোনো ধরনের কন্টিনিউয়াস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে শুধুমাত্র সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। মাসুদকে প্রতিটি কোর্সের শুধুমাত্র ৫০ মার্কের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ায় মাসুদ ওই পরীক্ষায় পাশ মার্কস তুলতে ব্যর্থ হন।

ওই সময় ম্যানেজম্যান্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার আবেদনের পরও মাসুদের কন্টিনিউয়াস পরীক্ষার কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাসুদ। পরে ২২তম একাডেমিক কাউন্সিলে মাসুদের পরীক্ষা গ্রহণের আর কোনো সুযোগ নেই বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে উচ্চ আদলতের দ্বারস্থ হন মাসুদ।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমরান হোসাইন রুমেল বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরও মাসুদের কন্টিনিউয়াস পরীক্ষা না নিয়ে তার প্রতি ইসজাস্টিস করা হয়েছে। মাসুদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট পরীক্ষা গ্রহণ করে তার ছাত্রত্ব নিয়মিতকরণের আদেশ প্রদান করেছেন।’

ভুক্তভোগী মাসুদ রানা অভিযোগ করে বলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও একাডেমিক কাউন্সিলের উদাসীনতার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাইকোর্টের রুল জারিতে আমি এখন সন্তুুষ্ট।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল অফিসার রেহেনা আক্তার মণি বলেন, ‘অফিসিয়ালি এ সম্পর্কিত কোনো কাগজ এখনো আমরা পাইনি।’

রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মাদ আলমগীর চৌধরী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কোনো কাগজ আসেনি।