ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ফুলে ফুলে ভরে গেছে সবুজ প্রান্তর। শীতের খোলস ছেড়ে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম যেন অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে। এমনই আবহের মধ্যে নানা আয়োজনে বসন্ত বরণ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে দিনভর ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবের আমেজ।
বসন্তের নতুন সকালে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বসন্ত বরণ উৎসব। সকাল থেকে নাচে-গানে উল্লাসে মেতে ওঠে সবাই। নানা রঙের বাহারি পোশাকে মানুষের উপস্থিতি আর আলপনার বর্ণীল সাজ ছিল ক্যাম্পাসজুড়ে। যেন পুরো ক্যাম্পাসটাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।
মঙ্গবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে মহুয়া মঞ্চে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বসন্তের নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান শেষে শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মহুয়া মঞ্চ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়কগুলো ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়। এছাড়াও প্লাবার্স ক্লাবের উদ্যোগে ‘মেহেদী ও ঘুড়ি উৎসব’ এর আয়োজন ছিল ক্যাম্পাসে।
বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাহিদ হক বলেন, ‘তীব্র শীতের শেষে প্রকৃতি যখন ফুলে ফুলে ভরে ওঠে তখন প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পায়। ২০০৯ সালের দিকে ক্যাম্পাসে প্রথম বসন্ত বরণ উৎসব শুরু হয়। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিবছর উৎসবের আয়োজন করে থাকি।’
বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ হাফিজ বলেন, ‘ক্যম্পাসে এই প্রথম আমাদের বসন্ত বরণ উৎসব দেখছি। জাহাঙ্গীরনগরের সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে বসন্তের ছোঁয়া যেন একটু অন্যরকম। উৎসব আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগছে।’