জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ২০তম পাখি মেলা। শুক্রবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে ২০তম পাখিমেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম। পাখি সংরক্ষণের জন্য গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, প্রতিবছর শীতের মৌসুমে অতিথি পাখিদের আগমনে প্রাণ ফিরে পায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ। বিগত বছরগুলোতে প্রচুর পাখি আসত ক্যাম্পাসের লেকগুলোতে। এবছরও পাখি এসেছিল কিন্তু ক্যাম্পাসের শব্দদূষণ আর লেক পর্যাপ্ত পরিষ্কার না থাকায় প্রায় সবগুলো লেক থেকে পাখি চলে গেছে। শুধুমাত্র ‘ওয়াইল্ড রেসকিউ সেন্টার’ (ডব্লিউআরসি) এর একটা লেকে এখনো পাখি রয়েছে। আমরা সচেতন হতে পারলে পাখিদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে সংরক্ষণ করা সম্ভব। ক্যাম্পাসে উচ্চ শব্দে কোন অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকলে এবং পাখিদের বিরক্ত না করলে পাখিরা নিরাপদ পরিবেশ পাবে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ক্যাম্পাসে অতিথি পাখি কম থাকলেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। ঢাকাসহ দূর দুরান্ত থেকে অনেকে পরিবারের সাথে পাখি মেলা দেখতে আসেন।
মেলায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, ‘পাখি মেলা দেখতে এসে খুবই ভালো লাগছে। প্রায় প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগরে আসি পাখি দেখতে। আজকে পরিবারের সাথে ঘুরতে এসে আমরা সবাই আনন্দিত।’
পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০১ সালে ক্যাম্পাসে প্রথমবার পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দুইবার মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব। এরপর থেকে জাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ নিয়মিত পাখি মেলার আয়োজন করে আসছে।
মেলা উপলক্ষে দিনব্যাপী পাপেট শো, পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা, বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন, পাখিচেনা প্রতিযোগিতা, বই প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজন থাকছে।
এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে আরও কিছু স্টল বসেছে। এসব স্টলে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে।