সিরাজগঞ্জে কবির বিন আনোয়ারকে আ’লীগের সংবর্ধনা

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন চত্বরের মুক্তির সোপানে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগসহ সকল নেতাকর্মী এবং সিরাজবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কবির বিন আনোয়ার।  বলেন, ‘এই বিরল সম্মান আমার জীবনে একটি বড় প্রাপ্তি। সারাজীবন আমি এটি শ্রদ্ধাভরে স্বরণে রাখবো।’  

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল গঠনের জন্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সে জন্য আমি তাঁর কাছে চির কৃতজ্ঞ। তিনি ইতোমধ্যে আমাকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, আমিও সেই মোতাবেক কাজ শুরু করেছি। আশা করছি আগামী নির্বাচনেও জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে আবারও নৌকাকে বিজয়ী করবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট কে,এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তাসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে শুরুর আগে জেলার সকল উপজেলা, পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি মিছিল নিয়ে সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। সভার শুরুতে দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে কবির বিন আনোয়ারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে মোড়ে অর্ধশতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়।

১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারি কবির বিন আনোয়ার সিরাজগঞ্জের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন রতু রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৭ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মা প্রয়াত সৈয়দা ইসাবেলা একুশে পদকপ্রাপ্ত একজন খ্যাতনামা লেখিকা।

কবির বিন আনোয়ার ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে যোগ দেন এবং চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি অবসরগ্রহণ করেন। ৫ জানুয়ারি তাকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলীয় নির্বাচন কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়।