আজ হিলি ট্রেন ট্রাজেডি দিবস। ১৯৯৫ সালের আজকের দিনে দিনাজপুরের হিলিতে দেশের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। হিলি রেল স্টেশনে দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান ২৭ জন।
কিন্তু দুর্ঘটনার ২৮ বছর পরও আহত ও নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি। এমনকি এখনো আলোর মুখ দেখেনি দুর্ঘটনার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন।
বাংলাহিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলুসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও হিলি স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সোয়া ৯টায় রেল ক্রসিংয়ের জন্য স্টেশনের ১নং লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১নং লোকাল ট্রেন।
সে সময় দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের অবহেলার কারণে একই লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৪৮নং আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংষর্ষ হয়, দুমড়ে মুচড়ে যায় লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় স্থানীয়রা শতাধিক মানুষ নিহত অনেকে আহত হয়েছিলেন এমন দাবি করলেও সরকারিভাবে ২৭জন নিহতের ঘোষণা দেয়া হয়। সেদিনের দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণ করেন অনেকে।
ভয়াল সেই দিনে নিহত আহতদের স্মরণ করেছেন হিলির বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। কালো ব্যাজ ধারণ, দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে স্মরণ করা হচ্ছে।
বাংলাহিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে নিহতের স্বরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।