অসুস্থ কুকুরের সেবায় ঝালকাঠির তরুণী শাহনাজ মুন

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত একটি পথ কুকুরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল। স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে ওষুধপত্র নিয়ে কুকুরটিকে সুস্থ করতে প্রতিদিন সেবা করা হচ্ছে।

ঝালকাঠি পৌর সিটি পার্কে আহত কুকুরটিকে রেখে প্রতিদিন খাবার খাইয়ে দেয়া, ক্ষত স্থানে নিজহাতে ওষুধ লাগিয়ে দেয়াসহ সারাক্ষণ কুকুরটির দেখভাল করছেন সেচ্ছাসেবী তরুণী শাহনাজ মুন।

প্রতিদিন প্রতিবেলা নিজ খরচে কুকুরটির খাবারের ব্যবস্থা করা সহজসাধ্য নয়। তারপর খাইয়ে দেয়া তো আরও কঠিন। কামড়ে দেয়ার ভয় তো আছেই। এতসব ভয়ডর পাত্তা না দিয়েই গত ১৫ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত অসুস্থ কুকুরটির সেবা করে যাচ্ছেন ঐ তরুণী।

রাতে ঝালকাঠি পৌর সিটি পার্কে গিয়ে দেখা গেছে, শাহনাজ মুন তার সহপাঠী মিজানুর রহমান রিতুনকে নিয়ে কুকুরের যত্নআত্তি করছেন। আর কুকুরটি আগ্রহে তা গ্রহণ করছে।

সেখানে উপস্থিত সিটি পার্কের বর্তমান পরিচালক পৌর কাউন্সিল হুমায়ুন কবির সাগর জানান, গাড়ির চাপায় কুকুরটির পেছনের দু’টি পা এবং কোমর ভেঙে গেছে। অনেক কষ্ট করে হাঁটুতে ভর করে হাঁটার চেষ্টা করে। কিন্তু সোজা হয়ে হাঁটতে পারেনা। লঞ্চঘাটের কাছে বান্ধাঘাট মোড় থেকে রিক্সায় করে গত ১৫ নভেম্বর অসুস্থ কুকুরটি পার্কে নিয়ে আসেন মুন ও রিতুন নামের দুই বন্ধু। সেদিন থেকে ওরা কুকুরটিকে সুস্থ্য করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে।

সেচ্ছাসেবী তরুণী শাহনাজ মুন জানান, ওয়ার্ড কমিশনার হুমাউন কবির সাগর কুকুরটি পার্কে রাখতে অনুমতি দিয়েছেন। তারপর থেকে ৪ বেলা খাবার ও ঔষধ চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে অবস্থা আগের চেয়ে খারাপের দিকে গেছে। অবলা প্রাণীটা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ঝালকাঠির সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সারোয়ার হাসান জানান, ব্যক্তি উদ্যোগে যেভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এটাই কুকুরটির জন্য সাময়িক ভালো থাকার উপায়। গাড়ী চাপায় কুকুরটি কোমর ভেঙে গেছে, চার পায়ে দাঁড়ানোর অবস্থা নাই। আমি প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছি।