সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

৬ চৈত্র, ১৪২৯

সব

Singapore
Corona Update

Confirmed Recovered Death
59,879 59,746 29

Bangladesh
Corona Update

Confirmed Recovered Death
543,717 492,059 8,356

ক্যাসিনো সেলিমের সঙ্গে আদালতে রুশ স্ত্রীর সাক্ষাৎ

নিউজ ডেস্ক | ০৩ আগস্ট ২০২২ | ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
ক্যাসিনো সেলিমের সঙ্গে আদালতে রুশ স্ত্রীর সাক্ষাৎ

অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে সেলিম প্রধানের সঙ্গে তার রাশিয়ান স্ত্রী আনা প্রধানের ঢাকার আদালতে সাক্ষাৎ হয়েছে। আজ ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানে অনুমতি নিয়ে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। সেলিম প্রধানের এদিন অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হয়। গত তিনদিন আগে ঢাকায় আসা আনা প্রধানও স্বামীর সাথে সাক্ষাতের জন্য আদালতে আসেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে এজলাস কক্ষে স্বামীর সাঙ্গে কথা বলার অনুমতি চান আনা। আদালত অনুমতি দিলে কিছু সময় কথা বলেন তারা।

পরে সেলিম প্রধানের স্ত্রী আনা প্রধান বলেন, আমি তিনদিন আগে এসেছি, এখন এদেশেই থাকব। আমাদের সন্তান আছে। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি আমার স্বামীর মুক্তি চাইছি। আইনের মধ্যে থেকে ন্যায়বিচার চাইছি। এদিকে, এদিন রেজাউল করিম নামে একজন ব্যাংকার এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। গত বছর ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়। গত বছর ৩১ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

এর আগে সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালেল ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র‌্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যায়। ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।

পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। এ মামলায়ও তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

সেলিম প্রধানের সঙ্গে আর্থিক খাতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তার জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারসে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ছাপা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ও অফিসের নথিপত্রও ছাপানো হয়। তার এই প্রতিষ্ঠান রূপালী ব্যাংকের শীর্ষ ঋণখেলাপির একটি। ২০১৮ সালে ঋণটি পুনঃ তফসিল করা হয়। সেলিমের কাছে ব্যাংকের পাওনা প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
এ বিভাগের আরও খবর
আর্কাইভ
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১