নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা পাওয়ার অভিযোগ উঠার পরিপ্রেক্ষিতে জাকার্তার বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কাজী আনারকলিকে ফিরিয়ে এনেছে সরকার। ইন্দোনেশিয়া সরকারের অনুরোধে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে এটিই প্রথম অভিযোগ নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অপরাধের অভিযোগে তাকে ফেরানো হয়েছিল। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে আনারকলিকে লসঅ্যানজেলেস থেকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিল ঢাকা। মার্কিন সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাকে জাকার্তায় জরুরি পদায়ন করা হয়েছিল এবং ইন্দোনেশিয়ার ভিসা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।
মাদককান্ডে কাজী আনারকলিকে ঢাকায় প্রত্যাহার করার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক ও বিব্রতকর হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এটা তদন্ত করছি। খবরটা দেখেছি; সেই কর্মকর্তার বিষয় আমরা কয়েকদিন আগে থেকেই জানি। এটি আমাদের জন্য বিব্রতকর।
সূত্র জানায়, আনারকলির দক্ষিণ জাকার্তার বাসায় ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ৫ জুলাই অভিযান চালায়। মারিজুয়ানা থাকার অভিযোগে অভিযান চলে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনীতিক আনারকলি দায়মুক্তির আওতাধীন ছিলেন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ান কর্তৃপক্ষ সেটি উপেক্ষা করেই অভিযান চালায় এবং তাকে আটক করে নিয়ে যায়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর দূতাবাসের জিম্মায় ছাড়া পান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক তাকে দেশে ফেরার আদেশ জারি করে। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা কাজী আনারকলি একজন নাইজেরিয়ানের সঙ্গে রুম শেয়ার করতেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র ক্যাডারের যে হাই স্ট্যান্ডার্ড, এর সঙ্গে আমরা কখনোই কম্প্রোমাইজ করব না। তদন্তে যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ বিষয়ে এটুকু বলতে পারি। কূটনৈতিক দায়মুক্তি সত্ত্বেও আনারকলির বাসায় অভিযানের বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এখানে কোনো ভুল নেই। সেই বাসায় আরেকজন বিদেশি নাগরিক ছিল বলে আমরা শুনেছি। সেক্ষেত্রে পুলিশ যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা ধন্যবাদ জানাই ইন্দোনেশিয়া সরকারকে, তারা সহযোগিতা করেছেন আমাদের। আমাদের ডিপ্লোম্যাট আমাদের কাস্টডিতে আছেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছেন। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে।