১৭ মার্চ ২০২১; সিঙ্গাপুরঃ বিপুল উৎসাহ – উদ্দীপনায় আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন, সিঙ্গাপুর। চ্যান্সারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন হাইকমিশনার জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, এনডিসি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী এই মহানায়কের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি। দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বাণীসমূহ পড়ে শোনানো হয়, প্রদর্শিত হয় ডকুমেন্টারী, বঙ্গবন্ধু-সহ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে করা হয় বিশেষ মোনাজাত। দিবসের আলোচনায় নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দেয়ার উপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। মান্যবর হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে বাঙালী জাতির স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ধাপে জাতির পিতার সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষা, বিচক্ষণতা, দূরদর্শীতা ও গঠনমূলক নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। আজকের শিশুদের ভবিষ্যতের যোগ্য পিতা ও মানবতার সেবক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাতির জনকের আদর্শ লালনের অপরিহার্যতার বিষয়টি তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। এসময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ভেদাভেদ ভুলে জাতির জনকের স্বপ্নে লালিত ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবার লক্ষ্যে উদাত্ত আহবান ধ্বনিত হয় মান্যবর হাইকমিশনারের কন্ঠে। কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি কেকও কাটা হয়।
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদ্যাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গৃহীত দশ দিন ব্যাপি (১৭-২৬ মার্চ ২০২১) অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, সন্ধ্যায় হাইকমিশনে দেশাত্মবোধক কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সিঙ্গাপুরে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যগণ বিশেষতঃ তরুণ প্রজন্ম ও শিশু-কিশোরেরা এই আয়োজনে অংশ নেয় ও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। হাইকমিশনের দশ দিন ব্যাপি আয়োজন ইতোমধ্যেই প্রবাসী মহলে বিশেষ সাড়া ফেলেছে। এই উৎসবে আরো থাকছে বয়সভিত্তিক সংগীত- নৃত্য-রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সেমিনার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সুধীজন সংবর্ধনা ইত্যাদি। আগামী ২৬শে মার্চ ২০২১ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে।