২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন শুরু

জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা দুই মিনিটে তিনি বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। এর আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অর্থমন্ত্রীকে বাজেট উত্থাপনের অনুমতি দেন।

বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এর আগে জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানেই প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি পঞ্চম বাজেট। এবারের বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্য দেবেন অর্থমন্ত্রী। এতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ করার কথা তুলে ধরবেন তিনি।

এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭  দশমিক ৫ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হারের লক্ষ্য থাকছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

এবারের বাজেটের অন্যতম আলোচিত বিষয় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তপূরণ। গত বছর বাংলাদেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য আবেদন করলে এ বছরের শুরুর দিকে তারা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।

কিন্তু আইএমএফ সাড়ে ৩ বছরের জন্য মোট ৩৮টি শর্ত দিয়েছে, যার অর্ধেকের কম আগামী অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এর মধ্যে আছে সুদহারের ক্ষেত্রে করিডর–পদ্ধতি তৈরি, রিজার্ভের যথাযথ গণনাপদ্ধতি প্রণয়ন, মুদ্রা বিনিময় হারের একক দর রাখাসহ কয়েকটি শর্ত পূরণের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত।

এগুলোর কিছু বাস্তবায়নের ঘোষণা আসবে জুন মাসে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময়, কিছু আসবে জুলাই মাসে। আইএমএফের চাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ।