হিলিতে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ, কেজিতে দাম কমেছে ১৫ টাকা

ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বাজার এখন দেশি পেঁয়াজের দখলে। এরমধ্যে প্রতি কেজিতে দাম কমছে ১৫ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। পানামা হিলি পোর্ট-সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চের পর এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের শুরুর আগেই সরকার পেঁয়াজ আমদানির আইপি বন্ধ করে দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে দেশি পেঁয়াজ বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় পেঁয়াজের দাম দিনদিন কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। আর পাইকারীতে বিক্রি হচ্ছে ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একটি দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ অল্প পরিমাণে বিক্রি হলেও দাম দেশি পেঁয়াজের মতোই। খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল জানান, কয়েক দিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে পাইকারী আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। দেশি পেঁয়াজ দখল করেছে ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার। সাতদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। আমরা পাইকারী কিনছি ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজিতে। আর খুচরা বিক্রি করছি ৩০ টাকা কেজিতে।

পেঁয়াজের পাইকারী আড়তদাররা জানান, সরকার দেশি পেঁয়াজ চাষীদের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। রমজান মাসে পেঁয়াজ বেশি প্রয়োজন হয়। এসময় আমদানি বন্ধ করায় দাম বাড়ার আশংকা থাকলেও দেশি পেঁয়াজ পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে এবং সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও দিনদিন কমেছে।

হাকিমপুর কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, এই উপজেলায় পেঁয়াজের আবাদ তুলনামূলক কম হয়।তবে চলতি রবি মৌসুমে একটি পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নে ৪৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।