বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বাসের চালক ও ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত চারজনকে রাজশাহী মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেইটে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
রাবি শিক্ষার্থীরা জানায়, বিকেলে বগুড়া থেকে মোহাম্মদ পরিবহনের একটি বাসে চড়ে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। পথে বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় আকাশের। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেইটে এসে আবারও সুপারভাইজারের সাথে তর্কাতর্কি হয়। এসময় স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সাথে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারদের উপর চড়াও হন।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া করেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় স্থানীয়রা ইটপাটকেল, দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। তাদের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। অবরোধ করা হয় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক।
এদিকে, ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের উপর স্থানীয়রা হামলা করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেইট এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছেন।