সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে। সেখানে যেসব জনবল ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

শনিবার বিকেলে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করেন সালমান এফ রহমান। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’

চলতি বছরের বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যোগ দিতে ১০ মার্চ বিকেলে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ডক্টর মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। এরপর বিকেলে গাজিপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদিমন্ত্রী। এরপর গণমাধ্যম সঙ্গে কথা বলেন তারা।

সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ডক্টর মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনো কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখব। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রপ্তানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।

বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদনকারী উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ উৎপাদন করা হবে।

বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারের।