ওয়ানডে বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে শিরোপা জয় নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। শক্তিমত্তা ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিজেদের বিশ্বকাপ রূপরেখা দাড় করিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে বিশ্লেষকরা। এশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এই বিশ্বকাপে উপমহাদেশের দলগুলোর সাথে বাকি দলগুলোর অবস্থান পর্যালোচনাই চলছে বেশি। কারণ এশিয়ার মাটিতে উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এবার বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।
১০ দলের অংশগ্রহণে এবারের বিশ্বকাপের পাঁচটি দলই এশিয়ার। খেলাও হবে এশিয়ার মাটিতে। তবে চেনা কন্ডিশনের পরও এবারের বিশ্বকাপে মাত্র একটি এশিয়ান দলকে সেমিফাইনালে দেখছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়কের অনুমান, রাউন্ড রবিন লিগ পেরিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নেওয়া তিনটি দলই হবে এশিয়ার বাইরের।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক প্রশ্নোত্তর ভিডিওতে নিজের ধারণার কথা বলেন ডি ভিলিয়ার্স। ‘৩৬০ ডিগ্রি’ নামে খ্যাত এই সাবেক ক্রিকেটার বলেন, বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ফেভারিট স্বাগতিক ভারত। এর বাইরে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াকে সেই তালিকায় রাখলেও গতবারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে দেখছেন না ‘৩৬০ ডিগ্রি’ নামে খ্যাত এই সাবেক ক্রিকেটার। বরং চতুর্থ দল হিসেবে ডি ভিলিয়ার্স সেমিফাইনালে দেখছেন নিজের দেশের ওপর। এ বিষয়ে নিজের অবস্থানের ব্যাখাও দিয়েছেন এই প্রোটিয়া। বলেন, ‘যদিও পাকিস্তানের ভালো সম্ভাবনা আছে, তবু চার নম্বরে আমি দক্ষিণ আফ্রিকাকেই রাখব।’
তবে ধুঁকতে ধুঁকতে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পাওয়া টেম্বা বাভুমার দলের জন্য যে সে কাজটি সহজ হবে না সেটিও বলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। সেটি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ওদের জন্য কাজটা সহজ হবে না। তবে কখনোই ‘কখনো না’ বলতে নেই। এটা বিশ্বকাপ, আর এটাই ওদের চাঙা করে তুলতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়েরা খুবই প্রতিভাবান, কিন্তু দল হিসেবে খুবই কম মূল্যায়িত।’এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে ভালো উইকেটের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তার যুক্তি, ‘উপমহাদেশের বাইরের তিনটা সেমিফাইনালে রাখাটা ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও নিজের অনুমানে আমি অটল, কারণ বিশ্বকাপ ভালো উইকেটে খেলা হবে। আমার মনে হয় না বিশ্বকাপে খারাপ উইকেট থাকবে।’
ডি ভিলিয়ার্স সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছেন ২০১৫ সালে। তার নেতৃত্বে সেবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলটি প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলেছিলো ১৯৯২ সালে। এরপর চারবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেললেও কখনোই ফাইনালের মঞ্চে উঠা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। এবার সে বাঁধা ডিঙিয়ে প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপের ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ হবে, এমন প্রত্যাশা করতেই পারেন প্রোটিয়া সমর্থকরা।