সেন্টমার্টিনে সচেতনতার বার্তা দিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

কেউ ঘুরতে গিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নানা রকম বর্জ্য ফেলে নোংরা করে আবার কেউ পরিষ্কার করে উদাহরণ সৃষ্টি করে। এমনই উদাহরণ সৃষ্টি করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাসফরে গিয়ে শুক্রবার সকালে প্রবাল দ্বীপে প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান তারা। এসময় তাদের সাথে ছিলেন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল।  

শুক্রবার রাত আটটার দিকে ড. বকুল তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন প্রকৃতির পক্ষ থেকে এ দেশের জন্য এক অমূল্য উপহার। কিন্তু সাগরে ফেলা প্লাস্টিকসহ নানা ধরনের বর্জ্য, দ্বীপে আগত পর্যটকদের ফেলা বর্জ্য দ্বীপটির ইতোমধ্যেই অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে। এই দ্বীপের ১৪১ প্রজাতির প্রবালের মধ্যে ইতোমধ্যেই ১০১টি প্রজাতি ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিক দূষণ ও দ্বীপের পরিবেশের নানা ধরনের ক্ষতির কারণে এখানকার জীববৈচিত্র চরম হুমকির মুখে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে একটি প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয় ‘

অধ্যাপক বকুল আরও লিখেছেন, দ্বীপের জেটি ঘাটসংলগ্ন উত্তর দিকের সৈকতে শুক্রবার সকালে এই অভিযান পরিচালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সদ্য বিদায়ী মাস্টার্স (২৬তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা। এ সময় সৈকতে ঘুরে বেড়ানো স্থানীয় শিশু-কিশোরেরাও উৎসাহ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অংশ নেয়। বিভাগীয় শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে এসে তারা এই কর্মসূচি পরিচালনা করেন।

শিক্ষার্থীদের এই সফর শিক্ষক হিসেবে তত্ত্বাবধান করছেন ড. সাজ্জাদ বকুল। প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা অভিযানে শিক্ষার্থীরা সাতটি বড় ব্যাগে করে সৈকতে পড়ে থাকা ও সাগর থেকে ভেসে আসা পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতলসহ নানা পরিবেশ দূষণকারী বর্জ্য সংগ্রহ করেন। পরে এসব বর্জ্য তারা জেটি ঘাটের পাশে কোস্টগার্ডের নির্ধারিত বর্জ্য সংগ্রহ স্থানে জমা রাখেন। কোস্টগার্ডের সদস্যরা এসব সংগৃহীত বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাবেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্স ২০২১ (২৬তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। ইতোমধ্যে বিভাগ থেকে তাদের বিদায় সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জন শিক্ষার্থী গত ৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে আসেন। সেখান থেকে তারা দু’দিনের সফরে গত ৮ ডিসেম্বর সেন্টমার্টিন আসেন। ১০ ডিসেম্বর দুপুরের পরে সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার-ঢাকা হয়ে রাজশাহী ফিরে যাবেন তারা।