সুন্দরবন রক্ষার আহ্বান রাবি শিক্ষার্থীদের

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই দিনটি সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পালন করেছেন দিবসটি।

মঙ্গলবার দুপুরে এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করেন শিক্ষার্থীরা। প্যারিস রোড হয়ে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি।

শিক্ষার্থীরা ‘আমার দেশ আমার বন, সুন্দরবন সুন্দরবন’; ‘সুন্দরবনের মহিমা ধ্বংস করা চলবে না’; ‘বাংলাদেশের অহংকার রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ ইত্যাদি লেখা সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিমুল বাছাড় বলেন, সুন্দরবন আমাদের পরিবেশ রক্ষায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেকোনো দুর্যোগে সুন্দরবন আমাদের অভিভাবক স্বরূপ। কিন্তু বর্তমানে শিল্পায়নসহ নানা কারণে আমাদের সুন্দরবন আজ ধ্বংসের মুখে। বিভিন্নভাবে বিপন্ন হচ্ছে সুন্দরবন।
 
আরেক শিক্ষার্থী এমডি মিলন বলেন, আজকে ভালোবাসা দিবস নিয়ে অনেক মাতামাতি হয়। কিন্তু সুন্দরবন দিবস নিয়ে তেমন কোনও কার্যক্রম চোখে পড়ে না। আমরা এর মাধ্যমে সবাইকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার আহ্বান জানাই। শিল্পায়নের প্রভাবে সুন্দরবন প্রতিনিয়ত দূষণের শিকার হচ্ছে। আমরাই সুন্দরবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সুন্দরবন বাঁচবে। সুন্দরবন বাঁচলে বাঁচবে প্রকৃতি, সুন্দরবন বাঁচলে বাঁচবে দেশ। 

২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়।