সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ঝিকিড়া মহল্লায় ১০টি পাটের গুদাম আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার গভীর রাতে সেখানে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুদামে রাখা প্রায় ১৫ হাজার মণ পাট ও ৬০ হাজার পাটের বস্তা পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিকরা জানিয়েছেন, এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
পাবনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সারফুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, রাতেই তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তাদের সাথে সিরাজগঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, তাড়াশ থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোট ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। মঙ্গলবার ভোর ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও পুড়ে যাওয়া পাটগুলো থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। এজন্য সকালেও ফায়ার সার্ভিস দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছিল।
তিনি জানিয়েছেন, পাট ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামের গুদাম থেকে রাত দুইটা ৩৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এটি তদন্ত করবে তারা।
ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিভিন্ন হাট থেকে পাট কিনে দেশের বিভিন্ন পাটকলে বিক্রি করে থাকেন। এখন পর্যন্ত মিলগুলো পাট কেনা শুরু না করায় ব্যবসায়ীরা পাট গুদামে মজুদ করেছিলেন। কিন্তু আগুন তাদেরকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী বাসুদেব সাহা ও আসাদুল ইসলাম জানান, তাদের নিজস্ব গুদামে প্রায় ছয় হাজার মণ পাট ছিল। কোনভাবেই এসব পাট রক্ষা করতে পারেননি। তারা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পাট মিল বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যায় না।
উল্লাপাড়া পাটবন্দর বণিক সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম আরজু জানান, ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিকদের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জ্বল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে উল্লাপাড়ার সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পাট ব্যবসায়ী এবং গুদাম মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান, উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা এসময় উপস্থিত ছিলেন।