সংবাদ প্রকাশের কারণ জানতে চেয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি শুভ আনোয়ারের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে। শুভ আনোয়ারের অভিযোগ, সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে তাকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেন লিটন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। সে সময় শুভ আনোয়ার সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে ছাত্রলীগের দুই নেতার সাথে কুশল বিনিময় করেন। সেখানেই হাবিবুর রহমান লিটন ছাত্রলীগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ নিয়ে ক্ষুব্ধ আচরণ করেন। তিনি এক পর্যায়ে শুভ আনোয়ারের সাথে অশোভন আচরণ করে বলেন, ‘তুই এভাবে ছাত্রলীগের….(অশ্রাব্য শব্দ) মারিস কেন? ছাত্রলীগ কি তোর শত্রু যে তুই এভাবে ছাত্রলীগের….(অশ্রাব্য শব্দ)…মারিস?’
শুভ আনোয়ার বলেন, ‘বিকেলে সংবাদ সংগ্রহ শেষে ফেরার সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করি। তখন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন আমাকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশের কারণ জানতে চান। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করে কথা বলেন। জনসম্মুখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী ও বড় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের এরকম শব্দ চয়ন ও আচরণ কখনো কাম্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের যে কোন ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা সাংবাদিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু সংগঠনের শীর্ষ একজন নেতার এ ধরনের আচরণ আসলে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথরুদ্ধ করার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।’
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘শুভ আনোয়ারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির সাথে তার দেখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এই মুহূর্তে মনে করতে পারছেন না বলে জানান।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা হয়েছিল।’