সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত

সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা এবং পামওয়েলের দাম লিটারে দুই টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তবে কবে থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে, তা জানা যায়নি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন দাম কার্যকরে সময় জানাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৭ম সভা এটি। বৈঠকের পর বাণিজ্যসচিব বলেন, সভায় অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে; বিশেষ করে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের বাজারমূল্য নিয়ে। এসব পণ্যের বর্তমানে আমদানি পরিস্থিতি কেমন, দাম কেমন হওয়া উচিত-এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ১০ টাকা কমে ১৬৭ টাকায় বিক্রি হবে। বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৭৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পামওয়েল প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা থেকে কমে ১৩৩ টাকা এবং বোতলজাত সুপার পামওয়েল ১৬৭ টাকা থেকে কমে ১৬৫ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠকের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের ৮ জুনের তুলনায় ২০২৩ সালের ৮ জুন বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দর ৪৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছে। পামওয়েলের দাম ৪৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে। কিন্তু দেশের বাজারে সেই দাম কমার কোনও প্রভাব পড়েনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, গত এক বছরে আদা ও চিনি ছাড়া সব পণ্যের দামই আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে। ভোজ্যতেল, আটা, ময়দা ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে মূল্য হ্রাস পেয়েছে স্থানীয় বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। তবে মশুর ডাল ও রসুনের আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে স্থানীয় বাজার মূল্যের সম্পর্ক ইতিবাচক। আদা ও চিনির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানানো হয়।

এসময় আরও বলা হয়, গত এক বছরে স্থানীয় বাজারে আমদানি ব্যয় পরিশোধে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য ২৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।