সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক ও চিন্তাবিদদের অন্যতম বৃহৎ মিলনমেলা ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসর শেষ হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে চারদিনব্যাপী এই উৎসবের সমাপনী আয়োজন শুরু হয় কীর্তনের মাধ্যমে, শেষ হয় নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শন, আলোচনা, সংগীত পরিবেশন এরূপ নানা আয়োজনে ভরপুর ছিল শেষদিন। সকাল ১০টায় ভবিষ্যতের বিজ্ঞান, ইংরেজি বাংলা সাহিত্যের ধাঁধা, সকাল সোয়া ১১টায় নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আব্দুল রাজাক গুনরাহ আলোচনা, বিশ্বায়নের কালে ভবিষ্যতের কবিতা কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন গৌতম গুহ রায়, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও আশরাফ জুয়েল। বেলা সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত হয় বন্যা মির্জার সঞ্চালনায় পুরুষত্ব বনাম পুরুষতন্ত্র বিষয়ক আলোচনা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বুকারজয়ী ভারতীয় লেখক গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, ‘এটি একটি সত্যিকার অর্থে পাঠক লেখকদের সমাবেশ। একজন ভারতীয় হিসেবে বলতে চাই, এখানে আমি নিজেকে ভিনদেশি মনে করিনি। দুই দেশের সীমানা কখনো আমাদের আলাদা করতে পারে না।’
আলোচনায় সোমালিয়ান সাহিত্যিক নুরুদ্দিন ফারাহ বলেন, ‘এই উৎসব অন্যান্য উৎসব থেকে একেবারেই আলাদা, আমি এখানে এসপ যা ধারণা করেছিলাম তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই আয়োজন থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি, আশা করি আপনারাও শিখেছেন।’
ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক ও প্রযোজক সাদাফ সায বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণ ছাড়া এই আয়োজন সফল হতো না। এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
চারদিনের এই অনুষ্ঠানে ১৭৫টি সেশনে অংশ নেন পাঁচ মহাদেশের শিল্পসাহিত্য অঙ্গনের ৫ শতাধিক বক্তা। পুরোটা সময় সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর ছিল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। আয়োজনের শেষপর্বে দর্শকদের আন্দোলিত করে কোক স্টুডিও বাংলার কনসার্ট।