উত্তরাঞ্চলে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ফলে তীব্র ঠান্ডা বিরাজ করছে উত্তরের জেলাগুলোতে। গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁয় মৃদু শৈতপ্রবাহ চলছিল। কিন্তু তাপমাত্রা কমে গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর ছয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ভোরে তাপমাত্রা ছিল সাত দশমিক দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস।
সকাল থেকে সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় শীতার্তদের খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা পাবার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
শহরের চেয়ে গ্রামে শীতের তীব্রতা বেশি। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও দিনমজুরদের। এমন বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও কাজের সন্ধানে বের হতে হয়েছে তাদের। এদের অনেকেরই শরীরে নেই শীত নিবারণের মত গরম কাপড়।
সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ বলেন, সন্ধ্যার পর কনকনে ঠান্ডা বাতাস শুরু হয় যা সকাল ৮টা বা ৯টা পর্যন্ত চলে। এরপর সূর্য উঠলে কিছুটা গরম লাগে। এই আবহাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। শীতের কারণে সকালে কাজ করতে না মানুষ।
গ্রামের অনেকেই শীত উপেক্ষা করে কৃষি কাজ করছেন। তারা জানান, শীতে কাজ করতে কষ্ট হলেও জমি তৈরি করতে হচ্ছে। জমিতে ফসল চাষ করতে হবে।
শহরের রিক্সাচালক আজাহার হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক বছরের মধ্যে এমন শীত দেখিনি। এখন কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলে বাতাস প্রচুর ঠান্ডা। হাত-পা মনে হচ্ছে শীতে বরফ হয়ে আসছে। গরীব মানুষ বাড়িতে বসে থাকলে তো হবে না। তাই চাদর গায়ে জড়িয়ে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি।’
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের সহকারি আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এবার শীতে জেলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৫০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে।