মাদারীপুরে কিশোর গ্যাং এর হামলায় আহত হওয়ার সাত দিন পর কলেজ শিক্ষার্থী হাসিব মাহমুদ দিপুর মামলা নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মামলা গ্রহণ করেছে শিবচর থানা পুলিশ।
গত ২৬ অক্টোবর পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাং-এর হামলার শিকার হয় দিপু। এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ দিয়েছে সে।
শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের গোয়ালকান্দা গ্রামের আবুল হোসেন মৃধার ছেলে ও সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিপু একজন শিশু সাহিত্যিক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৬ অক্টোবর শিবচরের সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের যুক্তিবিদ্যা পরীক্ষা শেষে মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিল দিপু। পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাহুল, ফাহাদ, হামজা ও আব্দুলাসহ তার বন্ধুরা শিবচর-পাঁচ্চর সড়কে সামনে দিপুর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে টেনে হিঁচড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে নির্যাতন চালায়। দিপুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে দিপুর বন্ধু মেহেদি হাসান তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় রাহুল ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে শিবচর লিখিত অভিযোগ করেন দিপু কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সাতদিন পরে মামলা নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু এখনো দোষীদের গ্রেপ্তার করেনি।
ভু্ক্তভোগী দিপু বলেন, ‘থানায় অভিযোগ দেয়ার সাতদিন পরে মামলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এই ঘটনার বিচার চেয়ে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়েছি। আইনগত বিচার না হলে রাহুল ও তার গ্যাং এর সদস্যরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।’
দিপুর বাবা আবুল হোসেন মৃধা বলেন, ‘কলেজে যাতায়াতের সময় নিরাপত্তা না থাকলে ছেলের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।’
শিবচর থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কলেজ ছাত্রের উপর হামলার ঘটনায় থানায় তিনজনের নামসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, ‘দিপুর উপর হামলার ঘটনায় শিবচর থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’