প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে মহান ভাষা শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি চলছে।
প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পর শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে রাবি ছাত্রলীগ ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো। পরে সকাল সাতটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা-কর্মচারি, ছাত্রদল ও বাম ছাত্র রাজনৈতিক জোটসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সংগ্রহশালার আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এছাড়া ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সমিতি নিজ নিজ স্থানে আলোচনা সভা করছেন। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহিদদের আত্মার শান্তির জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়
শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা একমাত্র জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। এই সংগ্রাম থেকেই বাঙালি স্বাধীনতার পথে হেঁটেছিল। পাকিস্তানিদের বৈষম্য, নির্যাতন ও অধিকারহরণ বাঙালিরা মেনে নিতে চায় নি। তাই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালিরা এই দেশকে স্বাধীন করেছে। যার বীজ নিহিত ছিল এই ‘৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে। তাই চিরকাল বাঙালি জাতি শহীদ সালাম, বরকত, রফিকদের স্বরণ করবে এবং তাদের প্রেরণা নিয়ে আমরা সর্বদা এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষায় কাজ করে যাব।
এদিকে ‘রক্ত শিমুল তপ্ত পলাশ, দিল ডাক সুনীল ভোরে’- প্রতিপাদ্যে বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতি জোটের আয়োজনে জোটের গানের সংগঠন গণশিল্পীর প্রযোজনায় থাকছে গান ‘একুশে আমর সূর্য সিঁড়িতে দারুণ দুঃসাহস’, উদীচীর প্রযোজনায় থাকছে গান ‘আমারি বাংলা ভাষা’, ও কবিতা আবৃত্তি ‘৫২ থেকে ২৩-এ আমরা’, স্বননের প্রযোজনায় কবিতা ‘আমি বাংলায় কথা কই’, রাবি ড্রামা এসোসিয়েশনের নাটক ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’, তীর্থক নাট্যদলের নাটক ‘নজরবন্দি’, ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রযোজনায় থাকছে নাটক ‘সার্টিফিকেট’।