রাজশাহী শহরের প্রশংসা করলেন চীনা রাষ্ট্রদূত


রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগর ভবনে মেয়রের দপ্তরে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূতকে আম আকৃতির শুভেচ্ছা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেন রাসিক মেয়র। এ সময় রাসিক মেয়রকেও উপহার দেন চীনের রাষ্ট্রদূত।  

পরে সাংবাদিকদের রাসিক মেয়র বলেন, চায়না বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত বন্ধু প্রতীম একটি দেশ এবং অন্যমত প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। অধিকাংশ বড় বড় অবকাঠামোগুলো তাদের কোম্পানি বা তদের প্রকৌশলীদের মাধ্যমেই নির্মিত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা উপকৃত হবো। আমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে চীনা রাষ্ট্রদূত রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।


মেয়র আরও বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চায়নার সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই চুক্তিতে পদ্মা নদীর পানি পাম্প করে গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভা এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। সেটি সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে। একটি স্বাক্ষর বাকি আছে, সেটি হলেই চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক প্রথম কিস্তিটি ছাড় করবে।
 
মেয়র জানান, রাজশাহী মহানগরীর সলিড বর্জ্য যেগুলো আমরা ট্রিটমেন্ট না করে ফেলে দিই। সেগুলো সারাবিশ্বে টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ্বালানি ও জৈবসার তৈরি করা হয়। আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে  প্রস্তাব দিয়েছি। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সরকার ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে পাবলিক প্রাইভেট পাটনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একই সাথে শহরের যত বর্জ্য পানি তা ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে ফেলা হয় সেগুলো ট্রিটমেন্ট করে কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার বিষয়য়েও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা প্রস্তাবনা চেয়েছে।

বাংলাদেশের জুটমিল, সুগারমিল টেক্সটাইলমিল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো চায়না সরকারের সাথে চুক্তি করে ইজারা ভিত্তিতে চালু করা সুযোগ আছে। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চায়না প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকার যতি প্রস্তাব দেয় তবে তারা গ্রহণ করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, রাজশাহীতে খুব স্বল্প সময়ের জন্য সফরে এসেছি। এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী নগরী ঘুরে আমি মুগ্ধ হয়েছি। রাজশাহী গ্রিন এবং ক্লিন সিটি। এই শহরের খুব উজ্জ্বল ভবিষ্যত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্থিত ইপিজেডে চায়নার ৫টি কোম্পানি কাজ করছে। এছাড়া আরও ৬টি কোম্পানি আসছে। আরও কোম্পানি বাংলাদেশের এই অংশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো পরিবেশ থাকায় আমরা আগ্রহী হচ্ছি। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চায়না সরকারের অবদান ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। উভয় দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।    

এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূত নগর ভবনে এসে পৌঁছলে তাকে  ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা।