রাজশাহীতে কলেজের এক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বাঘা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরাফাত সাঈদ সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন। আরাফাত সাঈদ বাঘা উপজেলার বলিহার (হাজিপাড়া) গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরাফাত সাঈদ জানান, গত বছর ৩০ নভেম্বর বাগমারা থানার এসআই আল ইমরান তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। সেই ঘটনায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদা দাবির অডিও কল রেকর্ড ফাঁস করেন। ওই ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে বলে তাকে হুমকি দেন সে সময়ের জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী। পুলিশের এমন অনৈতিক কাজের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আরাফাত সাঈদ। এরপর থেকেই পুলিশের রোষানলে পড়েন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের পর পুলিশ কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জানাজানি হলে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে এসআই আল ইমরানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর এসআই আল ইমরানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। সেই মামলার আরাফাত সাঈদকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আরাফাত সাঈদ বলেন, আমাকে প্রথমবারের মত মে মাসের তিন তারিখ সকাল ১১টায় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে,এইচ, এম এরশাদের অফিসে ডাকা হয়। ওইদিন আমি সঠিক সময়ে স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিসে যাই। কিন্তু অফিসের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত এক পুলিশ সদস্য জানান, ‘স্যার জরুরি কাজে বাহিরে আছেন। আপনাকে পরে ডাকা হবে।’
সাঈদ আরও জানান, ‘গত ছয় মে বাঘা থানায় পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় আমাকে ১৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার শিক্ষাজীবন নিয়েও শঙ্কিত আমি। পুলিশ কৌশল করে সাক্ষ্য দেয়ার তারিখ পিছিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
তিনি জানান, দ্বিতীয়বারের মত রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নোটিশ অনুযায়ী ওই মামলার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমাকে ১৬ মে সকাল ১১টায় ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে পুলিশের এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজশাহীর ডিআইজি, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।