মেহেরপুর সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন তার দোতলা বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন একখণ্ড বাগান। বাড়িটির ছাদজুড়ে সবুজের সমারোহ। বিভিন্ন রকমের ফল, সবজি ও ফুলের গাছ লাগিয়ে তৈরি করেছেন দৃষ্টিনন্দন এ বাগান।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে বাসার ছাদে শখ করে গড়ে তুলেছেন বাগান। এ বাগানে আছে পেয়ারা, মাল্টা, আমড়া, কুল, আনার, জাম্বুরা, ছফেদা, কামরাঙ্গা, শরিফাসহ ২৫ প্রজাতির ফলের গাছ। এছাড়াও কাঁচামরিচ, লেটুস, পালংশাক, গাজরসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি। আর শোভা ছড়াচ্ছে হাসনাহেনা, জবা, কামিনী, বাগান বিলাস, এডেনিয়াম, পানচেটিয়া, কাঠ গোলাপ, অর্কিড, বেলী, নাঁগচাপা, কাটামুকুটসহ নাম না জানা অনেক ফুল।
বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার ফলমূল সবজির সমারোহ আছে। বাগানটি অর্গানিক হওয়ার কারণে কীটনাশকমুক্ত ফল ও সবজি পাচ্ছেন। সারাবছরই থাকে এ ছাদ বাগানে ফলের সমারোহ।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন মূহূর্ত নিউজকে বলেন, কৃষির প্রতি ভালোবাসা থেকে বাগানটি করেছি। এ থেকে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটছে। অতিরিক্ত ফল, সবজি বন্ধু, আত্মীয়দের দিই। সেই সাথে অবসর সময় কাটিয়ে মানসিক প্রশান্তি মিলছে। এ বাগান দেখে অনেকেই এখন ছাদ বাগান করছেন। এতে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে অন্যদিকে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
ইট পাথরের মেঝেতে তৈরি ইসমাইলের ছাদ বাগান ইতোমধ্যেই মানুষের নজর কেড়েছে। এ বাগান দেখে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই শিল্পকারখানা আর আবাসনের চাপে কমছে ফসলি জমি। ফলে ফলমূল, চাষাবাদ ও গাছ রোপণের জায়গার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই শখ করে অনেকে ফল, ফুল কিংবা সবজি চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য ছাদ বাগান করছেন।