ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হলে এক শিক্ষার্থীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জয়া কুণ্ডু নামে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
খুলনার মেয়ে জয়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ২০১৮-২০১৯ বর্ষের (কে- ৭৬) শিক্ষার্থী ছিলেন।
ডা. আলীম চৌধুরী হলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে জয়া থাকতেন, তার রুমমেট ছিলেন পৃথুলা রায় ও লাবণী রায়।
বুধবার সকালে লাবণী ও পৃথুলা দুজনেই হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর একাকী কক্ষে জয়া সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে পড়েন বলে হলের শিক্ষার্থীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
পৃথুলা জানান, সাড়ে ১০টার দিকে তিনি খবর পান যে জয়া রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তাকে ইমারজেন্সিতে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ওই ছাত্রীকে নামিয়ে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে বোনের আত্মহত্যা করার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না জয়ার ভাই বুয়েটের শিক্ষার্থী পার্থ কুণ্ডু। জয়া দুই মাস আগে ফেইসবুকে সর্বশেষ পোস্টে একটা গানের কলি থেকে লিখেছিলেন- “আমি চিরজীবন দুঃখী থাকতে চাই না, আমি আর একদিনও এভাবে যেতে চাই না, আমি শুধু জেগে উঠতে এবং বুঝতে চাই, সবকিছু ঠিক হয়ে যাচ্ছে।”
রুমমেট পৃথুলা বলছেন, জয়া অনেকদিন ধরে ডিপ্রেশনে ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তার কাউন্সেলিং করানো হচ্ছিল। জয়ার বাড়ি খুলনার সদর উপজেলার কুয়েট রোডে। তার বাবা গিরিন্দ্রনাথ কুণ্ডু।