‘রাজনীতিতে ক্ষমতা প্রয়োজন মানুষের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। এখন রাজনীতিতে প্রতারণাটাই বড় বাহাদুরির কাজ হয়ে গেছে। এখন ফুলের বাগান তৈরি হয়না, ক্যাসিনো বাগান তৈরি হয়। আমাদের এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’
সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত কমরেড প্রসুন কান্তি রায় (বরুণ রায়) এর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ পৌরসভা মুক্তমঞ্চে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিপিবির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
তিনি আরও বলেন, জাতিকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে বরুণ রায়দের স্মরণ করা উচিৎ। শুধু স্মরণ করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না। তাঁর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। প্রতিদিনের সংগ্রাম ও কাজের ভেতরে বরুণ রায় প্রেরণার উৎস হয়ে থাকুক।
তিনি আরও বলেন, বরুণ রায় শুধু সুনামগঞ্জের নয়, সমগ্র বাংলাদেশের নেতা। তিনি জমিদার পরিবারের হয়েও সাধারণভাবে চলাফেরা করতেন। ভাসান পানির অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইসহ আজীবন সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কমরেড বরুণ রায় জন্ম শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এনাম আহমদ, সঞ্চালনা করেন উদীচীর জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ‘বরণীয় বরুণ রায়’ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও চিত্রাঙ্কনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বরুণ রায় জন্মশতবর্ষ উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বরুণ রায়ের সহধর্মিণী নারী নেত্রী শীলা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, শিক্ষাবিদ ধূর্য্যটি কুমার বসু, প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, কেন্দ্রীয় গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, সিলেট জেলা সিপিবি’র সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট বেদনানন্দ ভট্টাচার্য্য, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্যসহ বিশিষ্টজনেরা।