গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যেকোনও মূল্যে রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বিএনপি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রয়োজনে আরও ত্যাগ স্বীকারের ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত দলটির নেতাকর্মীরা। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে ক্ষমতাসীনদের প্রতিটি অপকর্মের বিচার হবে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রার আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এমন একটি সময়ে দলটি ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে, যখন সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি নিয়ে রাজপথের আন্দোলনে বিএনপি। সমাবেশে অন্যান্য নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপিকে চাপে রাখতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করেছে সরকার।
এদিন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজন করে শোভাযাত্রার। এর আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ওয়াঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি ফকিরাপুল মোড়-নটরডেম কলেজ-মতিঝিল শাপলা চত্বর-ইত্তেফাক মোড় হয়ে রাজধানী মার্কেটে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শুরুর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা দলীয় সংগীতসহ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে গান পরিবেশন করে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে উৎসাহিত করেন।
