মণিপুরে ধর্ষণ ও বিবস্ত্রের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ সুপ্রিম কোর্টের

দুই নারীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানো এবং সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে আছে ভারতের মণিপুর রাজ্যে। ঘটনার দুই মাস পেরোলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে ‘বড় আকারে সাংবিধানিক ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই কথা জানায় এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার এবং এই অঞ্চলের নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সে বিষয়ে আদালতকে জানানোর আদেশ দেন। এসময় তিনি বলেন, সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্ট ব্যবস্থা নেবে। আদালত ২৮ জুলাই এ সংক্রান্ত ১টি মামলা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ঘটনার পর এ বিষয়ে প্রথমবার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ থেকে শুরু হয়েছে ভারতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশন। প্রথম দিনেই মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসসহ বিরোধীরা মুলতবি প্রস্তাব জমা দেন। সরকারপক্ষও আলোচনায় রাজি। বিরোধী শিবিরে নিন্দার মুখে সংসদ অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘মণিপুরের কন্যাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। এটি দেশের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা এবং অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

৪ মে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাংপোকপি জেলায় এ ঘটনা ঘটে। মণিপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনার মূল আসামিকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয়েছে। মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ১ দিন পর নারীদের ওপর এই অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। এ দাঙ্গায় অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কুকি সম্প্রদায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে।