তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে ভয়াবহ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর এ পর্যন্ত সিরিয়া এবং তুরস্ক কমপক্ষে ৫০০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। খবর, বিবিসি’র।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এটি স্থানীয় সময় ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭.৯ কিলোমিটার।
ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে বেশকিছু ভবন। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে আবাসিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ঘটনার পর থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে আন্তর্জাতিক রেডক্রসসহ দু’দেশের বিভিন্ন সংস্থা।
খবরে বলা হয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে। তুরস্কে এখনো পর্যন্ত ২৮৪ জন নিহত এবং দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই। অন্যদিকে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে দেশটিতে অন্তত ২৩৭ জন নিহত ও ছয় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস। প্রতিবেশি দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
দিয়ারবাকিরে থাকা বিবিসির তুরস্ক প্রতিনিধি বলেন, শহরটির একটি শপিংমল ধসে পড়েছে।
গাজা উপত্যকায় থাকা বিবিসির প্রযোজক রুশদি আবুয়ালুফ বলেন, তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
দু’দেশের স্থানীয় সিসমোলজিস্টরা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৮ ছিল বলে জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, ভূমিকম্পটি আঘাত হানার কয়েক মিনিট পরেই দ্বিতীয় আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। ভৌগলিকভাবে তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত। এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।