ভারত যেটা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত সরকার অত্যন্ত পরিপক্ব। তারা একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ। তারা যেটা ভালো মনে করে সেটাই করেছে। এ সম্পর্কে কোনো কিছু বলার নেই। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য তারা যদি নিজে থেকে কিছু বলে থাকে, তা নিশ্চয়ই আমাদের এ অঞ্চলের উপকারে আসবে।

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বিষয়ে জানাতে রোববার (২০ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং নির্বাচনের বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অজ্ঞাত সূত্রের বরাতে প্রচারিত রিপোর্টের বিষয়ে ইঙ্গিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আমরা জানি না কোনো দেশের বন্দিকে (প্রিজনার) বিদেশে পাঠায় কিনা? প্রশ্নকারী সাংবাদিককে তিনি বলেন, ‘আপনি কি জানেন কোনো দেশ, তার দেশের প্রিজনারকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়? যদি পাঠিয়ে থাকে আমাকে বলেন। মন্ত্রী বলেন, এখানে দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা তাকে দেওয়া হচ্ছে। আর প্রিজনারকে বিদেশে পাঠায় কিনা আমার জানা নেই। আপনি যদি জানতে পারেন, তাহলে উই উইল ওয়েলকাম।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী ছাড়াও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ভারত শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া বার্তায় ভারত বলেছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে তা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষেই সুখকর হবে না। কারণ, শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনের ক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র জামায়াতকে একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দেখে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তুলনা করে। কিন্তু ভারত মনে করে, জামায়াত একটি উগ্র মৌলবাদী সংগঠন।

ভারতের বার্তায় আরও বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ স্থলসীমান্ত আছে। বাংলাদেশে জামায়াতের মতো সংগঠন শক্তিশালী হলে ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা সমস্যার মুখে পড়বে। জামায়াতের মতো সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানের নিবিড় যোগ আছে বলেই মনে করে ভারত।