যড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগকে তাদের ছাড় দেবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউশনে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করা ঘাতকচক্রকে পুরস্কৃত করেছে বিশ্বাসঘাতক জিয়াউর রহমান। তার প্রতিষ্ঠিতি দল বিএনপি এখনো সেই হত্যা ও ষড়যন্তের রাজনীতি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে বিএনপি নেতারা দল বেঁধে গেছে সিঙ্গাপুরে। আবার শুনেছি জাতীয় পার্টিরও এক গ্রুপ গেছে। ভালো, আলাপ-আলোচনা করুক। রাজনৈতিক আলোচনা দেশে হোক, বিদেশে হোক তারা করবে, এটা তাদের নৈতিক অধিকার। রাজনীতি করেন, তবে দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না। রাজনীতি করেন, কিন্তু দয়া করে সন্ত্রাস করবেন না। রাজনীতি করেন কিন্তু ১৩-১৪ সালের মতো আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, রাস্তা পোড়ানো এই রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আবার যদি ক্ষমতায় আসতে পারে, তবে তারা গণতন্ত্র গিলে খাবে। আবার যদি আসতে পারে, তারা রক্তের বন্যা বইয়ে দিবে। কোনও ভালো মানুষ বাঁচতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনও অস্তিত্ব তারা রাখবে না। নিশ্চিহ্ন করে দেবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে। এই বিএনপি জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে এই দেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।
তাদের থেকে নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রস্তুত হোন। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে। আওয়ামী লীগও প্রস্তুত। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছয়টি জন্মদিনকে জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজি ও বিদ্বেষের রাজনীতি বলে অভিহিত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল খুনিরা। হত্যা, হত্যা ডেকে আনে। জিয়াউর রহমান নিজেও বাঁচতে পারেনি। যে বুলেট শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জুসহ প্রকৌশলী নেতৃবৃন্দ।
পরে শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘স্মরণে শ্রদ্ধায় ৭৫ শোক পরিণত হোক শক্তিতে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সংসদ সদস্য সীমিন হোসেন রিমি, নাট্যকার রামেন্দু মজুমদার, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত হোসেন লাকিসহ সংস্কৃতিজনেরা।
এসময় ওবায়দুল কাদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে মোকাবিলা করার আহ্বান জানান। আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যাতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সে বিষয়েও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।