বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করতে আসলে খবর আছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। আস্তে আস্তে মলিন হয়ে যাচ্ছে তাদের এক দফা।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বে এ বছর ৩০টির বেশি দেশে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ ছাড়া কোনও দেশে খুজে পাচ্ছি না যেখানে বড় বড় দেশ কোন প্রতিনিধি দল গিয়ে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলদেশে। কী অপরাধ আমাদের গণতন্ত্রের? আমাদের উন্নয়নের?
গণতন্ত্রের যারা প্রবক্তা, মানবাধিকারের যারা প্রবক্তা তাদের যদি বলি ইউক্রেন যুদ্ধে এক বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। রেজাল্ট কী? সুদানে দুই জেনারেলের দ্বন্দেব প্রাণহানি, সোমালিয়ায় প্রতি মিনিটে ক্ষুধায় একজন মারা যাচ্ছে। জাতিসংঘের কথা ইসরাইল শোনে না।
তারা পেয়েছে শুধু বাংলাদেশ। পান থেকে চুন খসলেই নিষেধাজ্ঞা দিবে, ভীসানীতি দিবে-হুমকি ধামকি। আর মির্জা ফখরুলের লাফালাফি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নেতিবাচক শক্রতার বিদ্বেষের রাজনীতির জন্য আজীবন বিরোধী দলে থাকতে হবে বিএনপিকে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে অন্তরজ্বালায় মরছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এক দফার খবর আস্তে আস্তে মলিন হয়ে যাচ্ছে। লোক কমে যাচ্ছে। বিএনপির মিছিলে দৈর্ঘ্য কমে, প্রস্থে বাড়ে। লোক কমে যাচ্ছে। কোনও সহঅবস্থান বিএনপির সঙ্গে হবে না। জঙ্গিবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে মিলিত হয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানাতে চায় বিএনপি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বর্তমান স্বাধীন নির্বাচন কমিশনই বহাল থাকবে। এসময় বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, পছন্দ হলে নির্বাচনে আসুন, না হলে যা ইচ্ছা তা-ই করুন। তবে নির্বাচনে নির্বাচনে বাধা দিতে আগুন নিয়ে খেলতে আসবেন না, খবর আছে। আসলে প্রতিহত ও সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়ার প্রতিহিংসামূলক জন্মদিন পালন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, একজনের কয়দিন জন্মদিন থাকে। এ পর্যন্ত ছয়টি জন্মদিন পাওয়া গেছে।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাক্তার মো. জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।