বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে আ’লীগের বিক্ষোভ

বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই এখন সত্যি হলো। তাদের আন্দোলনের এক দফা হলো অগ্নিসন্ত্রাস। ২০১৩/১৪ সারের নির্মম নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। আজ মাতুয়াইলে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষ করে। ৪টি বাসে আগুন দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশের ভ্যানে হামলা করে ভাঙচুর করে। রাজধানীতে মোট ৭টি বাসে হামলা চালায়, ভাংচুর ও অগ্নিসন্ত্রাস করে। পুলিশ সদস্যদের আহত করে হাতের কবজি পর্যন্ত কেটে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের ঢোকার পথ- এটা কি তারেক রহমানের বাপ দাদার সম্পত্তি? লন্ডন থেকে আদেশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিবে এটা কোন ধরনের রাজনীতি?

তিনি বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সে নির্বাচনে প্রধান বাধা বিএনপি। সেটা আজ প্রমাণ হলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে তারা অবস্থান থেকে সরবে না এটাই তাদের লিডার অর্থপাচারকারী দুবৃর্ত্ত তারেক রহমান লন্ডন থেকে নয়াপল্টনে ভিডিওতে নির্দেশনা দিয়েছে। কোন ফোরামে তার ভাষণ, বিবৃতি প্রচার তরা যাবে না, এটার পরও বারে বারে কেন লঙ্ঘিত হচ্ছে? আদালতের আদেশ প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে চলেছে দুর্বৃত্ত তারেক রহমান আদালত অবমাননা করছে প্রতিনিয়ত। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে গালিগালাজ করছে তারেক রহমান। এর কি বিচার নেই, প্রতিকার নেই। আইনের উর্ধ্বে কি তারেক রহমান? আইনকে কটাক্ষ করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে, এই দল সন্ত্রাসী দল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস আমরা রুখবো এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।

বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দের সঙ্গে জরুরি যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।