বরিশাল সিটি নির্বাচনে নৌকার বিশাল জয়

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। 

সোমবার রাত পৌণে আটটায় ১২৬টি কেন্দ্রের সবগুলোর বেসরকারি ফলাফলে নৌকা পেয়েছে নৌকা ৮৬ হাজার ৯৯৭ ভোট, আর চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩০৭ ভোট। মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৫। সে হিসাবে অর্ধলাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী।

এদিকে, আজ অনুষ্ঠিত বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরশন নির্বাচনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন। একই সঙ্গে আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ভোট বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বরিশালে মেয়ার প্রার্থীর ওপর হামলা ও দুই সিটি করপোরেশনেই অনিয়মের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার সারা দেশে বিক্ষোভেরও ডাক দিয়েছে।

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা শুরু হয় সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫ মিনিটে। জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির।

শুরু থেকে মোটামুটি সুষ্ঠুভাবে ভোট চললেও বরিশালে দুপুরের দিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে তিনিসহ দলের বেশ কিছু নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েকশ নেতা-কর্মী শহরের দুটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। হামলা-মারধর-হয়রানি, পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোটারদের বাধা দেওয়া, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ারও অভিযোগ করেছে দলটি। প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাতেও দলটির নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে